মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন যে, রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে ওয়াশিংটন। সেই সঙ্গে কিয়েভকে নতুন করে সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, রোববার জাপানের হিরোশিমায় জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনকে নতুন করে যে সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, তার মধ্যে গোলাবারুদ, কামান, সাঁজোয়া যান অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

প্রসঙ্গত, বাইডেন পশ্চিমা মিত্রদের ইউক্রেনে উন্নতমানের এফ-১৬ জেট বিমান হস্তান্তর করার অনুমতি দেওয়ার কয়েক দিন পর নতুন প্রতিশ্রুতি দিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহের শেষে জেলেনস্কি ইউরোপীয় দেশগুলোতে ঝটিকা সফর শুরু করেন। সফরকালে তিনি জার্মানির কাছ থেকে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। এ ছাড়া ফ্রান্স ও ব্রিটেনের কাছ থেকেও অনুরূপ নতুন অস্ত্রের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের নেতা।

এদিকে জেলেনস্কি জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে আশ্চর্যজনকভাবে উপস্থিত হওয়ার পাশাপাশি সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন। এর মধ্যে ভারত, ব্রাজিল, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়ার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে অ-পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। এসব দেশ চলমান যুদ্ধে কোনো পক্ষ অবলম্বন না করে নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। তার পর থেকেই দেশটিকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। তবে রাশিয়ার অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে পেরে উঠছিল না ইউক্রেন।

এ অবস্থায় অনেক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য মিত্রদের কাছ থেকে ফাইটার জেট চেয়ে আসছিল ইউক্রেন। কিন্তু এত দিন দেশটিকে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান দিতে রাজি হয়নি কোনো দেশ। শেষ পর্যন্ত কিয়েভকে ফাইটার জেট দিতে সম্মতি দিয়েছে ওয়াশিংটন।